নাফিজার মনে ভালই রঙ লেগেছে। রঙ লাগাটা অবশ্য তার নতুন কোন স্বভাব নয়।
শুটিং হাউজে নাফিজার উপস্থিতি অথবা, ফেসবুকে তার একাধিক স্ট্যাটাস এবং ছবি
পোস্ট সে কথাই জানান দেয় বারে বার। মনে হয় যেন নাফিজার যেখানেই উপস্থিতি,
সেখানটাই রঙের মেলা। এইতো গত সপ্তাহেই নাফিজা তার ফেসবুকে ‘সুইসাইড’
স্ট্যাটাস দিয়ে সবাইকে অবাক করেছেন। কিন্তু এটাই নাফিজা। এটাই তার
ক্যারেক্টার। ভাল অথবা খারাপ চিন্তা না করে মনের ভাললাগার উপরই পথ চলেন
তিনি। আর এজন্যই নিজেকে সবসময় রঙের ভেলায় ভাসিয়ে রাখতে পছন্দ করেন। নাফিজা
বলেন, জীবনটা আর কয়দিনের। একটু আমদ ফুর্তিতে না চলে যদি শুধু নিজেকে অভাগা
ভেবে পথ চলি; তবে আমার সঙ্গে সঙ্গে আরও কিছু মানুষের পথ চলায় বাঁধা আসবে।
তাই আমি সবসময় ফুর্তি চাই। যতক্ষণ মনে রঙ আছে, ততক্ষণে সেই রঙে অন্যকে
রাঙাতে চাই। এমনি বাস্তবিক চরিত্র নিয়েও নাফিজা সমপ্রতি অভিনয় করেছেন ‘এই
দুনিয়ার রঙের মেলা’ নামের একটি ধারাবাহিক নাটকে। ধারাবাহিকটি রচনা ও
পরিচালনা করেছেন মোশারফ হোসেন লিটন এবং নাট্যরূপ দিয়েছেন আকাশ রঞ্জন। এতে
নাফিজার সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন ড. এনামুল হক, ফারুক আহমেদ, ফারজানা ছবি,
মিমো, পরান, প্রাণ রায়, আমিন আজাদ, শিরিন আলম, অবিদ রেহান, রুনা খানসহ আরও
অনেকে। গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই ধারাবাহিক নাটকের গল্প গড়ে উঠেছে-
রশীদপুর গ্রামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম সলেমান পাটোয়ারী। নিজের
শিক্ষাকে অপব্যবহার করে অত্র গ্রামের সহজ সরল অশিক্ষিত আক্কাস আমীর সরলতাকে
কাজে লাগিয়ে জমি রেকর্ডের সময় আক্কাস আলীর জমি নিজের নামে রেকর্ড করে
মধ্যবৃত্ত থেকে ধনী হয়ে যায়। কথায় আছে কৃপণের ধন রাখে না মান। ঠিক তেমনি
তিন ছেলের মধ্যে মেঝ ছেলে মিলন ছাড়া বাকি দু’জন মামুন ও সুমন বাউন্ডেলে।
এদের কারণে সলেমান পাটোয়ারী দুঃখের সীমা নেই। ঘটনার এক পর্যায়ে মৃত আক্কাস
আলীর ছেলে জয়নাল প্রতিশোধ নিতে সলেমান পাটোয়ারীর বাড়িতে ছলে বলে কৌশলে
নিজের আপন বোন কুলসুমকে কাজের মেয়ে হিসেবে যোগদান করায়। শুরু হয় এক অন্য
রকম ট্রাজেডিক্যাল রসাত্মক কাহিনী। নাফিজা বলেন, এই নাটকটিতে অভিনয় করেছি
অতি সমপ্রতি। এতে গ্রামের উচ্ছ্বল এক মেয়ের চরিত্রে আমাকে দেখা যাবে।
নাটকটি আশা করছি দর্শকের কাছে ভালই লাগবে। এছাড়া বর্তমানে নাফিজা অভিনীত
নাটক প্রচার চলছে মোহাম্মদ মোস্তাফা কামাল রাজের পরিচালনায় ‘ইডিয়টস’।
No comments:
Post a Comment