লাক্স তারকা ও মডেল সুমাইয়া আজগার রাহার লাশ আজ বৃহস্পতিবার আজিমপুর কবরস্থান থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামিম বানুর উপস্থিতিতে আজ বেলা দেড়টার দিকে রাহার
লাশ তোলা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিয়ে
যাওয়া হয়েছে।
লাশ উত্তোলনের সময় মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেনসহ পুলিশের পাঁচ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন রাহার বাবা আলী আজগার ও চাচা জামাল উদ্দিন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামিম বানু উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, লাশ গলে
গেছে। তাই রাহার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না।
মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
গতকাল বুধবার রাহার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলার আদেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল ফজল মীর।
গত সোমবার মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন ঢাকার মুখ্য
মহানগর হাকিম আদালতে এর জন্য আবেদন করেন। মহানগর হাকিম জয়নাব বেগম
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মামলার নথি
পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন।
পুলিশের আবেদনে বলা হয়, ২২ মার্চ রাতে রাহা তাঁর মোহাম্মদপুরের চাঁন মিয়া
হাউজিংয়ের বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
বিষয়টি রাহার বাবা সংশ্লিষ্ট থানাকে না জানিয়ে লাশ দাফন করেন। মৃত্যুর
কারণ খুঁজে দেখতে লাশ আজিমপুর কবরস্থান থেকে উত্তোলন, একজন নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিত্সক দ্বারা ময়নাতদন্ত করা প্রয়োজন।
গত রোববার রাত সোয়া ১০টার দিকে রাহার বাবা আলী আজগার মোহাম্মদপুর থানায়
একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন। এতে বলা হয়, রাহা শুক্রবার রাতে ঐশিক ও
লামিয়া নামের দুই বন্ধুর সঙ্গে বাসায় ফেরেন। এ সময় শরীর খারাপ লাগছে বলে
তাঁর মাকে জানান। মা তাঁকে লেবুর শরবত খেতে দেন। এরপর স্বাভাবিকভাবে
ঘুমিয়ে পড়েন রাহা। পরদিন সকালে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তাঁরা দরজা ভেঙে
দেখেন রাহা ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন।
২০০৭ সালে লাক্স তারকা প্রতিযোগিতায় সেরা দশে ছিলেন রাহা।
No comments:
Post a Comment