চিত্রনায়ক অনন্ত ও তাঁর স্ত্রী চিত্রনায়িকা বর্ষা পরস্পরের বিরুদ্ধে
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় করা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) প্রত্যাহার করেছেন।
আজ রোববার সন্ধ্যায় অনন্ত ও বর্ষা তাঁদের আইনজীবী এবং প্রতিনিধিদের
মাধ্যমে মোহাম্মদপুর থানায় গিয়ে জিডি প্রত্যাহারের আবেদন করেন। উভয়
পক্ষের আবেদন গ্রহণ করে পুলিশ।
সাধারণ ডায়েরি প্রত্যাহার প্রসঙ্গে আজ সন্ধ্যায় অনন্ত ও বর্ষা প্রথম আলো
ডটকমকে বলেন, ‘গত ২২ মার্চ ঘটে যাওয়া ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত একটি পারিবারিক
ঘটনা ও ভুল-বোঝাবুঝি। রাগের বশবর্তী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় করা আমাদের
উভয়ের সাধারণ ডায়েরি স্বইচ্ছায়, কারও কোনো ধরনের প্ররোচনা ছাড়াই
প্রত্যাহার করেছি। আমাদের এই অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল-বোঝাবুঝির কারণে প্রিন্ট ও
ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বন্ধুদের পাশাপাশি আমাদের অগণিত দর্শক-ভক্তদের কাছে
আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।’
পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
অনন্ত ও বর্ষা পরস্পরের বিরুদ্ধে গত শুক্রবার মোহাম্মদপুর থানায় জিডি করেন।
শুক্রবার বিকেলে অনন্ত মোহাম্মদপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন, তাঁর স্ত্রী
বর্ষার চারিত্রিক সমস্যা আছে। তাই তিনি বাড়ি থেকে চলে গেছেন। বর্ষা তাঁর
ক্ষতি করতে পারেন, এমন আশঙ্কা থেকেই থানায় অভিযোগ করেছেন বলে জানান অনন্ত।
একই দিন রাতে বর্ষা একই থানায় গিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, অনন্ত
তাঁকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে
তিনি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
এ ব্যাপারে তখন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক
প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, শুক্রবার বিকেলে অনন্ত ও রাতে বর্ষা পরস্পরের
বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন। দুজনের অভিযোগের বিষয়টি এখন তদন্তাধীন।
বর্ষার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করার বিষয়টি গতকাল শনিবার সকালে প্রথম আলো
ডটকমকে নিশ্চিত করেন অনন্ত। তিনি বলেন, ‘বর্ষার নানা ধরনের সমস্যা ছিল।
দুজনের ভালোর কথা চিন্তা করে বর্ষাকে অনেক বুঝিয়ে স্বাভাবিকও করেছিলাম।
কিন্তু শুক্রবার সকালে কোনো ধরনের কথাবার্তা ছাড়াই সে বাসা থেকে বেরিয়ে
যায়। শনিবার সকালে বর্ষার সঙ্গে আমি যোগাযোগের চেষ্টাও করি। দুজনের
ভুল-বোঝাবুঝির অবসান করতে চাইলেও সে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর সারা দিন তার
সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।’
গতকাল সারা দিন বর্ষার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে
অনন্তের ফোনের মাধ্যমে কনফারেন্সে যোগাযোগ হয় বর্ষার বাবা আয়নাল হকের
সঙ্গে। তিনি তখন অবস্থান করছিলেন সিরাজগঞ্জে। প্রথম আলো ডটকমকে তিনি বলেন,
‘মায়ের সঙ্গে বর্ষার কথাবার্তা হয়েছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে আমরাও
উদ্বিগ্ন।’
২০১০ সালে ‘খোঁজ—দ্য সার্চ’ চলচ্চিত্র দিয়ে রুপালি পর্দায় হাজির হন অনন্ত
ও বর্ষা। পরের বছর তাঁরা বিয়ে করেন। জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করেন ‘স্পিড’,
‘মোস্ট ওয়েলকাম’, ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’ ছবিতে। বর্তমানে তাঁরা দুজন জুটি
হয়ে অভিনয় করছিলেন ‘মোস্ট ওয়েলকাম-২’ ছবিতে।
No comments:
Post a Comment