Monday, March 4, 2013

আমেরিকায় মিলনের দ্বিতীয় সংসার!

আনিসুর রহমান মিলন। ছোটপর্দার বেশ বড় অভিনেতা। ইদানীং বড়পর্দাতেও ভাল হাঁকডাক দিচ্ছেন। ‘দেহরক্ষী’ শীর্ষক মুক্তি প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্র দিয়ে ভালই কাঁপাবেন প্রেক্ষাগৃহ- এমন প্রত্যাশা অনেকের। তবে বড়পর্দা কাঁপানোর আগেই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খানিক টানাপোড়েনে পড়তে যাচ্ছেন মিলন। গেল ৫-৬ দিন ধরে ফেসবুকে বেশ ক’জন টিভি তারকা-নির্মাতার ওয়ালে ওয়ালে ঝুলছে একজন আকর্ষণীয় নারীর সঙ্গে আনিসুর রহমান মিলনের ঘনিষ্ঠ ছবি। যার ক্যাপশনে লেখা আছে- ‘আনিসুর রহমান মিলন উইথ হিজ ওয়াইফ এট লস এঞ্জলেস ইউএসএ’। এ ছবিটি ফেসবুকে রাষ্ট্র হয়েছে অভিনেত্রী নাজনীন হাসান চুমকীর একাউন্ট থেকে। যদিও চুমকি বিভিন্নজনের কাছে দাবি করেছেন, এটা তার ফেইক আইডি! আবার অনেকেই বলছেন চুমকি এ ছবিটি দিয়ে মিলনের সঙ্গে বহু পুরনো প্রেমের বদলা নিচ্ছেন। সে যাই হোক, মূলত এ ছবির সূত্র ধরেই গেল ৫ দিন ধরে চারদিকে গুঞ্জন ছড়িয়েছে মিলনের বিপক্ষে। গুঞ্জনে উঠে এসেছে কেঁচো খুঁড়তে বেশ কিছু মোহরের গল্প। যেমন, মিলন প্রায় চার বছর হলো সবাইকে ফাঁকি দিয়ে পলি নামের এ আমেরিকা প্রবাসীকে বিয়ে করে সংসারী হয়েছেন। সেই পলির ছবিটাই সমপ্রতি ফাঁস হয়েছে ফেসবুকে। আবার অনেকে বলছেন, মিলন পারিবারিকভাবেই দ্বিতীয় বিয়েটি করেছেন। ওই সংসারে একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে আমেরিকায়! গুঞ্জনে আরও এসেছে, মিলন আসলে বিয়ে থা কিচ্ছু করেনি। অতীতে তার আরও কয়েকটি মিডিয়া প্রেমের মতো এটিও একটি স্বল্পদৈর্ঘ প্রেম। গুঞ্জনে আরও জানা গেছে, মিলন ও তার প্রথম স্ত্রী লুচির প্রায় এক যুগের সংসারে কোন সন্তান নেই। ফলে বাধ্য হয়েই মিলন তার পরিবারের সমর্থন নিয়ে আমেরিকায় দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। ফেসবুক ওয়ালে মিলন-পলির এ ছবিকে ঘিরে এমন আরও অনেক পজিটিভ-নেগেটিভ গুঞ্জন এখন মৌ মৌ করছে মিডিয়ায়। এমন গুঞ্জনের সত্যতা জানাতে বেশ কয়েকজন তারকা শিল্পী এবং নির্মাতা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠেই মানবজমিনকে বলেছেন, মিলন অনেক আগেই এই মেয়েকে বিয়ে করেছেন। অনেকদিন ধরে বাংলাদেশ টু আমেরিকায় সংসার চালাচ্ছেন তিনি। এটা নতুন কোন খবর নয়। আর এসব মিলিয়ে গতকাল মুঠোফোনে মানবজমিনের মুখোমুখি হলেন মিলন। তিনি স্পষ্ট করেই অব দ্য রেকর্ডে বলেন পারিবারিক অনেক কথা। অনরেকর্ডে তিনি বলেন, এটা সত্যি গেল এক বছর ধরে আমি-লুচি সেপারেশনে আছি। এটা পারিবারিকভাবেই। সমপ্রতি আমরা দু’জনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি ডিভোর্সের। ফলে আমার আর লুচির সম্পর্ক ছেদ হওয়ার আগে তো আমি দ্বিতীয় অপশনে যেতে পারি না। আইনগতভাবে না, মানসিকভাবেও না। মিলন আরও বলেন, আসলে পারিবারিকভাবে অনেক সমস্যাই হতে পারে। এটা আসলে বলার মতো নয়। শুধু এটুকু বলবো, আমাদের দুই পরিবারের পক্ষ থেকেই এই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিচ্ছেদ না হয় হচ্ছে। কি কারণে সেটাও না হয় ব্যক্তিগত। কিন্তু ফেসবুক ওয়ালের ওই ছবিতে আপনার পাশের মানুষটি কে? মিলন বলেন, ছবিটার সত্যতা আছে। ছবির মানুষটাকে আমি চিনি। ওই ছবিটা আমেরিকাতেই তুলেছি। পারিবারিকভাবে আমাদের চেনা জানা আছে। আগামীতে শুভ কিছু হলেও হতে পারে। তবে তার আগে আমার বর্তমান সম্পর্কটির একটা সুরাহা করতে হবে। এর আগে তো আমি দ্বিতীয় সম্পর্ক গঠন করতে পারি না। মিলনকে পাল্টা জিজ্ঞাসা ছিল, বেশ কিছু বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে প্রথম স্ত্রী লুচির সঙ্গে এরই মধ্যে আপনার ডিভোর্স হয়েছে। সেই সঙ্গে গেল চার বছর ধরে আমেরিকা প্রবাসী পলির সঙ্গে আপনি সংসার করছেন। একটি পুত্র সন্তানও আছে নাকি? মিলন বলেন, আমি-লুচি এক বছর ধরে আলাদা থাকছি। তবে এখনও কাগজেপত্রে বিচ্ছেদ ঘটেনি। ঘটবে শিগগিরই। আর আমেরিকা প্রবাসীর সঙ্গে আমার পরিচয় কিংবা সুসম্পর্ক রয়েছে। এটা স্বীকার করছি। তবে এখনও বিয়ে করিনি, বাচ্চা হবে কোত্থেকে ভাই? তবে কথা দিচ্ছি, আমি এই বিষয়টি নিয়ে শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে সবকিছু পরিষ্কার করবো। এসব মিলিয়ে লুচির সঙ্গে বিচ্ছেদ আর পলির সঙ্গে প্রণয়ের গল্প নিয়ে বিপাকে আছেন মিলন।

No comments:

Post a Comment