বিপর্যয় কাটিয়ে নিজের ইচ্ছাশক্তি আর সাধনার মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে নতুন আশার আলো সঞ্চার করে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানোর আগেই সম্ভাবনাময়ী নায়িকা আঁচল আবারও ভুল পথে হাঁটতে শুরু করেছেন বলে অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। অভিযোগ করছেন তাকে নিয়ে কাজ করছেন যারা, তারাই। অভিযোগ, ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত এই নায়িকা তার ব্যক্তিগত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে নিজের সম্ভাবনায় ছাই ফেলার পাশাপাশি তাকে নিয়ে নির্মীয়মাণ ছবিগুলোর ভবিষ্যতকেও অনিশ্চিত করে তুলছেন। এরই মধ্যে আঁচল দীর্ঘদিনের প্রেমিককে বিয়ে করে ঘর-সংসার করছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। স্বামীর নির্দেশে আঁচল মিডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখেছেন। শুটিং-ডাবিংয়েও তার দেরি করে আসার অভ্যাস নির্মাতাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। এই খবরে তাকে নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী নির্মাতারা পিছিয়ে যাচ্ছেন। আঁচলের পরিবারের সদস্যরাও তার বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হচ্ছেন না। অথচ ‘ভুল’ এবং ‘বেইলী রোড’-এর ব্যর্থতার পর বেশ কঠিন সময় পার করতে হয়েছে আঁচলকে। তখন ‘কষ্ট কেন ভালবাসায়’ এবং ‘ভালবাসার রঙধনু’ নামে দু’টি ছবির কাজ নিয়ে কোনমতে দিন পার করছিলেন সম্ভাবনাময়ী নায়িকা আঁচল। হতাশা তার চারপাশে ঘিরে ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই এক সকালে সফল পরিচালক শাহিন-সুমনের ‘জটিল প্রেম’ ছবির একক নায়িকা হিসেবে সুযোগ আঁচলের ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। মাত্র এক মাসের মধ্যে তিনি পেয়ে যান শাহ মো. সংগ্রামের ‘কি প্রেম দেখাইলি’, সাফিউদ্দিন সাফির ‘প্রেম প্রেম পাগলামী’ এবং ফয়সল রদ্দির ‘এ কেমন প্রেমের গল্প’ ছবিগুলো। মুহূর্তেই বদলে যায় তার চারপাশ। হতাশা কেটে জ্বলে ওঠে সম্ভাবনার আলো। কিন্তু ব্যস্ততার পাশাপাশি জেগে ওঠে ব্যক্তিগত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের অভাবও। বসে পড়েন বিয়ের পিঁড়িতে। বাবা-মায়ের বাসা ছেড়ে আলাদা ঘর-সংসারও শুরু করেছেন। কাজের প্রতি আগ্রহ মনোযোগ সবই কমে গেছে। তাকে নিয়ে নির্মিত ছবিগুলোর প্রযোজক-পরিচালকরা চিন্তিত। কিন্তু এসব নিয়ে আঁচলের কোন মাথাব্যথা নেই। কারও সঙ্গে কথাও বলেন না এ বিষয়ে। নিজের প্রয়োজন ছাড়া মুঠোফোনও খোলেন না। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ও বিয়ের ব্যাপারে জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে আঁচলের মুঠোফোন বরাবরের মতোই বন্ধ পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment