Thursday, March 7, 2013

গানের শুটিংয়ে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন মেহজাবিন

মোবাইল কোম্পানির সিরিজ বিজ্ঞাপনে টানা কয়েকদিন শুটিংয়ে ব্যস্ত আছেন। এ কারণে অন্য সব শিডিউলই তাকে পেছাতে হয়েছে। মেহজাবিন বলেন, 'আমাকে খুব স্বাভাবিকভাবেই সেল ফোনের বিজ্ঞাপনের শুটিংকেই সবচেয়ে আগে প্রাধ্যান্য দিতে হয়। কারণ এর চুক্তির সময়ই এটা লেখা থাকে। তাই আমি সকল নির্মাতাকেও এটা বলে রাখি। ফলে আমার সাথে কারও এই নিয়ে কোনো সমস্যা হয় না। কারণ আমি মনে করি কাজের ক্ষেত্রে শিডিউল ফাঁসানো কোনো ভালো উদাহরণ হতে পারে না। তাই আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো অভিযোগ নেই।'

তবে মোবাইল কোম্পানির বিজ্ঞাপনের শুটিং শেষ করেই 'পরবাসিনী' চলচ্চিত্রের গানের শুটিংয়ে যাবেন মালয়েশিয়া। ইমনের সাথে তার একটি টাইটেল গানে সম্প্রতি কণ্ঠ দিয়েছেন তানভীর ও এলিটা। এই ছবির শুটিংয়ের কাজে মালয়শিয়ার বিভিন্ন লোকেশনে যাবেন পুরো ইউনিট। ছবির কাজ প্রসঙ্গে মেহজাবিন বলেন, 'আমি একসাথে অনেকগুলো কাজে বিশ্বাসী নই। তাই আমি খুব সিরিয়াসলি 'পরবাসিনী'র কাজটি করছি। এ ছবিটি নিয়ে এরই মধ্যে দর্শকদের ভেতর কৌতূহল তৈরি হয়েছে। পরিচালক স্বপন ভাইয়ের সাথেও তাই প্রতিনিয়ত ছবিটি নিয়ে কথা হচ্ছে। আশা করি ছবিটি রিলিজ হলে দর্শকদের সেই প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির ভেতরে কোনো ধরনের ঘাটতি তৈরি হবে না।'

Wednesday, March 6, 2013

দ্বিতীয়বারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে রিয়া

দ্বিতীয়বারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন মডেল ও নৃত্যশিল্পী রিয়া। এমন একটি খবর গতকাল দিনভর উড়ে বেড়িয়েছে মিডিয়ার বাতাসে। নানা সূত্র থেকে জানা গেছে, রিয়ার নতুন বর আমেরিকা প্রবাসী ব্যবসায়ী। নাম ইভান। তিনি নৃত্যগুরু রাহিজা খানম ঝুনুর বোনের ছেলে। আগামীকাল দুই পরিবারের উপস্থিতিতে এ বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে বলেও প্রচারণা বেশ জোরালো। সূত্র আরও জানায়, বিয়ের কেনাকাটা শেষ হয়েছে সোমবার। বিয়ের যাবতীয় কেনাকাটার দায়িত্বে ছিলেন রাহিজা খানম ঝুনুর মেয়ে নৃত্যশিল্পী বেবী। উল্লেখ্য, প্রায় ৭-৮ বছর আগে মিনহাজ নামে একজন বৈমানিকের সঙ্গে রিয়ার বিয়ে হয়। নানা কারণে তাদের বনিবনা না হওয়ায় গত সপ্তাহে মিনহাজকে তালাক দেন রিয়া। এদিকে মিনহাজের সঙ্গে বিয়ের আগে মিডিয়ার সবাই জানতেন, মডেল পল্লবের সঙ্গেই বিয়ে হবে রিয়ার। কারণ, প্রায় একযুগ ছিল তাদের প্রেমের সম্পর্ক। এটা সবার কাছেই ছিল ওপেন সিক্রেট। পল্লবের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকার পরও মিনহাজকে বিয়ে করেন রিয়া। পল্লব এখনও বিয়ে করেননি। দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি সম্পর্কে জানতে গতকাল রিয়ার সেলফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। অন্যদিকে নৃত্যশিল্পী বেবীর সঙ্গে সেলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সবকিছুই ঠিক ছিল। কিন্তু রিয়ার আগের যে সমস্যাটা আছে সেটা মিটে না যাওয়া পর্যন্ত কিছু হচ্ছে না। আর তাছাড়া বিয়ে হলে তো আপনাদেরকে জানানো হবেই।

Tuesday, March 5, 2013

এবারই প্রথম

আইটেম গানের প্রতি বলিউডবাসীর দুর্বলতা বেশ। বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও আইটেম গান দারুণ পছন্দ করেন। ছবিতে বিভিন্ন নাচের দৃশ্যে অংশ নিলেও তিনি কখনও আইটেম গানে নৃত্য পরিবেশনের সুযোগ পাননি। এবারই প্রথম ‘শুট আউট ওয়ালা’ ছবিতে একটি আইটেম গানে নৃত্য পরিবেশন করেছেন তিনি। এনটিডিটিভির খবরে জানা গেছে, সম্প্রতি প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ‘বদমাশ বাবলি ফিলিংস ভেরি নোটি’ শিরোনামের এ গানটির  দৃশ্যধারণে অংশ নিয়েছেন। গানে তাকে বেশ খোলামেলাভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রিয়াঙ্কা বলেন, আইটেম গান আমার ভীষণ প্রিয়। তাই সুযোগটা পেয়ে আর হাতছাড়া করিনি। এছাড়াও আমার কাছে গানটির কথা অসাধারণ লেগেছে। আশা করছি, দর্শকদেরও ভাল লাগবে। এনটিডিটিভি আরও জানিয়েছে, এ গানে পারফর্ম করতে প্রিয়াঙ্কা প্রায় ৬ মাস ধরে নাচের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এছাড়াও শারীরিক কাঠামোর পরিবর্তন সাধন করতে ব্যায়ামাগারেও ঢুকেছিলেন।

আলিশার হাঁকডাক

আলিশা প্রধান। ফেসবুক এবং পার্টিতে বরাবরই সরগরম। স্বল্প বসনা এবং ক্রেইজি এক্সপ্রেশন দিয়ে তার দৃপ্ত পদচারণা গ্ল্যামার ভুবনের প্রায় সর্বত্র। তাও প্রায় বছর দশেক ধরে। যদিও সে অর্থে আলিশার উল্লেখযোগ্য কাজের সংখ্যা তেমন নেই বললেই চলে। অনেকেই এ বিষয়টিকে বলে থাকেন বৃষ্টির চেয়ে গর্জন বেশি! যেমন সদ্যসমাপ্ত বিপিএল টুর্নামেন্টে আলিশা প্রধান গণমাধ্যমে বলেছিলেন, এবার তিনি এ আসরে থাকছেন উপস্থাপক হিসেবে। অথচ এবারও বিপিএলের আসরজুড়ে ছিল ভারত থেকে আমদানি করা উপস্থাপিকা শিনা চৌহান। সে যাই হোক, হট গ্ল্যামারাস লম্বা ক্যারিয়ারে আলিশা নাটক-মডেলিং-উপস্থাপনা কম করেননি। তবে আলিশাকে চেনানোর জন্য একটি নাটক-বিজ্ঞাপন কিংবা অনুষ্ঠান এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যাবে না। বরং আলিশার পরিচিতি এখনও তার গরম গরম স্টিল ফটোগ্রাফির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। হয়তো এসব ভাবনা থেকেই আলিশা এবার কোমর বেঁধে নামছেন চলচ্চিত্রে। অনেকটা চ্যালেঞ্জের সুরেই সমপ্রতি তিনি হাঁকডাক দিচ্ছেন। বলছেন, আমি এ মাসের মধ্যে দুটি নতুন ছবিতে অভিনয় করতে যাচ্ছি। আর নাটক ও উপস্থাপনাকে একেবারে বিদায় জানাতে চাই। অনেক হয়েছে, আর না। তিনি আরও বলেন, আমার এখন একটাই টার্গেট। বাংলা সিনেমাকে ঘিরে দর্শকদের যে নাক সিটকানো ধ্যান-ধারণা আছে তার পরিবর্তন করা। আর আমার বিশ্বাস, পরিচালকের পাশাপাশি এখানে আমাদের মতো নতুন শিল্পীদেরও অনেক দায়িত্ব আছে। আলিশার সামপ্রতিক এমন ঘোষণায় নাটক-চলচ্চিত্রাঙ্গনের অনেকেই অবশ্য মুচকি হাসছেন। বলছেন, আলিশা এখন যেমন আছেন তেমনই থাকবেন আশা করি। তিনি আবার চলচ্চিত্রকে কি চেঞ্জ করবেন! আগে তো তার নিজেকে চেঞ্জ করতে হবে। এদিকে আলিশা এমন কি চলচ্চিত্রে পা রাখছেন, যার মধ্য দিয়ে চেঞ্জ করবেন অনেক কিছু। আবার টিভি ইন্ডাস্ট্রিকেও জানাচ্ছেন গুডবাই। এ প্রসঙ্গে আলিশার ভাষ্য ভাসা ভাসা। তিনি বলেন, আমি এখনই ছবির নাম ঘোষণা করতে চাই না। শতভাগ চূড়ান্ত করেই জানাচ্ছি। তবে এটুকু বলে রাখি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে আমি কোন ছবিতে কার বিপরীতে অভিনয় করছি, তার বিস্তারিত ঘোষণা দেবো। আমি সবার সহযোগিতা নিয়ে বড়পর্দায় কাজ করতে চাই। বড়পর্দায় একটা পরিবর্তন আনতে চাই। আগামী সপ্তাহে আলিশা তার ছবি ও নায়কের নাম সত্যি সত্যি ঘোষণা করতে পারবেন তো? এ বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ প্রকাশ করেছেন টিভি-চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা।

এবারও ব্যাপক খোলামেলা হয়ে পর্দায় আসছেন নেহা

‘জয়ন্ত  ভাই কি লাভ স্টোরি’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন নেহা শর্মা। এ ছবিতে বিবেক ওবেরয়ের বিপরীতে বেশ ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন এ অভিনেত্রী। এই প্রথম ছবিতে নেহা ব্যাপক খোলামেলা হয়েই কাজ করেছেন। কুমার তরুণী পরিচালিত এ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে বেশ আলোচিতও হচ্ছেন নেহা। তবে শুধু আলোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছেন না তিনি। ইতিমধ্যে বেশ কিছু ছবির প্রস্তাব এসেছে তার কাছে। এ ছবিগুলোর মধ্যে সবক’টিতে কাজ না করলেও দুটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। এ দুটি ছবিতেই প্রধান নারী চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। প্রথম ছবি মুক্তির আগেই এতোটা ব্যস্ত নেহা হয়ে পড়বেন সেটা নিজেও কল্পনা করেননি। এদিকে ছবি দুটির মধ্য থেকে একটির কাজ ইতিমধ্যে শুরু করেছেন তিনি। এ ছবিটিও পরিচালনা করছেন কুমার তরুণী। ছবিতে এবার নেহাকে দেখা যাবে অজয় দেবগানের বিপরীতে। গত সপ্তাহ থেকে এ ছবিটির শুটিং শুরু হয়েছে। এদিকে ‘জয়ন্ত ভাই কি লাভ স্টোরি’ ছবিতে রগরগে দৃশ্যে ক্যামেরাবন্দি হওয়ার পর এবার এ ছবিতেও ব্যাপক খোলামেলা হয়ে পর্দায় আসছেন নেহা। অজয়ের সঙ্গে কিছু ঘনিষ্ঠ দৃশ্যেও তাকে দেখা যাবে। এ ছবিটিতে একজন পতিতার চরিত্রে অভিনয় করছেন নেহা, যে কিনা এক সময় অজয়ের প্রেমে পড়ে অন্ধকার জীবন থেকে বের হওয়ার স্বপ্ন দেখে। দ্বিতীয় এ ছবিতে অজয়ের মতো সুঅভিনেতার সঙ্গে কাজ করছেন বলে বেশ আনন্দিত নেহা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, প্রথমত বলবো এই ছবির কাহিনী অনেক চমৎকার। সে কারণেই মূলত কাজটি করা। আর কুমার তরুণীর হাত ধরেই আমার বলিউডে আসা। তাই তার আরও একটি ছবিতে কাজ করছি বলে ভাল লাগছে। এখানে আমি পতিতার চরিত্রে কাজ করছি। বেশ চ্যালেঞ্জিং একটি চরিত্র। আর ছবিতে অজয় দেবগানের মতো সুঅভিনেতা বিপরীতে কাজ করছি, তার কাছ থেকে প্রতিনিয়তই শিখতে পারছি। তিনি অনেক কো-অপারেটিভ। আশা করছি এ ছবিতে আমাদের জুটি দর্শকরা পছন্দ করবে।

এ কি কথা বীণার মুখে

বীণা মালিকের মুখে এ কি কথা! যা দারুণ বিস্ময়েরই সৃষ্টি করেছে সবার মধ্যে। যে বীণা সমপ্রতি এক মিনিটে ১৩৭ বার  চুম্বনের বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন তিনি নাকি পর্দায় চুম্বনের দৃশ্য ঘৃণা করেন। বীণার  মুখে এমন কথা যেন একেবারেই বেমানান! এর আগে এমন একটি রেকর্ড গড়েছিলেন সালমান খান এক মিনিটে ১০৮ বার চুম্বন করে। কিছুদিন আগে তার উনত্রিশতম জন্মদিন উপলক্ষে শত চুম্বন উপহার পেয়ে রীতিমতো সংবাদ শিরোনামে চলে আসেন বীণা। সতীশ রেড্ডির   প্রযোজনা ও  হারুন রশীদের  পরিচালনায়  ‘সিটি দ্যাট নেভার স্লিপ’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য নায়ক খুঁজতে এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা  হয়। আর সেখানেই ঘটে এ ঘটনা। এ সম্পর্কে বীণা বলেন, আমি আরও তিন-চার বার ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়বো, ইনশাল্লাহ। মজার ব্যাপার হলো, বীণা যে সব তথ্য দিয়েছেন তাতে তার ভক্তরা কিছুটা হলেও বিস্মিত হয়েছেন। বীণা বলেন, আমি সত্যি বলছি, পর্দায় চুম্বনের দৃশ্যে অভিনয় করতে আমার মোটেও ভাল লাগে না। যদিও আমার সামনের চতুর্থতম ছবি ‘ডার্টি পিকচার’-এর দক্ষিণী ভার্সনেও চুম্বনের দৃশ্য আছে। আমি সততার সঙ্গে বলছি, রুপালি পর্দায় চুম্বনের দৃশ্য আমি ঘৃণা করি। চুম্বনের দৃশ্যে অভিনয় করা একেবারে সহজ কথা নয়। এটা তো পপকর্ন বা চকোলেট খাওয়া নয়, ভাগ দিতে হয় অন্যকে। আমি এ বিষয়টা থেকে সরে আসতে চাই।

ভুল পথে আঁচল

বিপর্যয় কাটিয়ে নিজের ইচ্ছাশক্তি আর সাধনার মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে নতুন আশার আলো সঞ্চার করে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানোর আগেই সম্ভাবনাময়ী নায়িকা আঁচল আবারও ভুল পথে হাঁটতে শুরু করেছেন বলে অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। অভিযোগ করছেন তাকে নিয়ে কাজ করছেন যারা, তারাই। অভিযোগ, ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত এই নায়িকা তার ব্যক্তিগত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে নিজের সম্ভাবনায় ছাই ফেলার পাশাপাশি তাকে নিয়ে নির্মীয়মাণ ছবিগুলোর ভবিষ্যতকেও অনিশ্চিত করে তুলছেন। এরই মধ্যে আঁচল দীর্ঘদিনের প্রেমিককে বিয়ে করে ঘর-সংসার করছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। স্বামীর নির্দেশে আঁচল মিডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখেছেন। শুটিং-ডাবিংয়েও তার দেরি করে আসার অভ্যাস নির্মাতাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। এই খবরে তাকে নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী নির্মাতারা পিছিয়ে যাচ্ছেন। আঁচলের পরিবারের সদস্যরাও তার বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হচ্ছেন না। অথচ ‘ভুল’ এবং ‘বেইলী রোড’-এর ব্যর্থতার পর বেশ কঠিন সময় পার করতে হয়েছে আঁচলকে। তখন ‘কষ্ট কেন ভালবাসায়’ এবং ‘ভালবাসার রঙধনু’ নামে দু’টি ছবির কাজ নিয়ে কোনমতে দিন পার করছিলেন সম্ভাবনাময়ী নায়িকা আঁচল। হতাশা তার চারপাশে ঘিরে ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই এক সকালে সফল পরিচালক শাহিন-সুমনের ‘জটিল প্রেম’ ছবির একক নায়িকা হিসেবে সুযোগ আঁচলের ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। মাত্র এক মাসের মধ্যে তিনি পেয়ে যান শাহ মো. সংগ্রামের ‘কি প্রেম দেখাইলি’, সাফিউদ্দিন সাফির ‘প্রেম প্রেম পাগলামী’ এবং ফয়সল রদ্দির ‘এ কেমন প্রেমের গল্প’ ছবিগুলো। মুহূর্তেই বদলে যায় তার চারপাশ। হতাশা কেটে জ্বলে ওঠে সম্ভাবনার আলো। কিন্তু ব্যস্ততার পাশাপাশি জেগে ওঠে ব্যক্তিগত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের অভাবও। বসে পড়েন বিয়ের পিঁড়িতে। বাবা-মায়ের বাসা ছেড়ে আলাদা ঘর-সংসারও শুরু করেছেন। কাজের প্রতি আগ্রহ মনোযোগ সবই কমে গেছে। তাকে নিয়ে নির্মিত ছবিগুলোর প্রযোজক-পরিচালকরা চিন্তিত। কিন্তু এসব নিয়ে আঁচলের কোন মাথাব্যথা নেই। কারও সঙ্গে কথাও বলেন না এ বিষয়ে। নিজের প্রয়োজন ছাড়া মুঠোফোনও খোলেন না। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ও বিয়ের ব্যাপারে জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে আঁচলের মুঠোফোন বরাবরের মতোই বন্ধ পাওয়া যায়।