Sunday, March 24, 2013

রণবীরের মাঝরাতের অতিথি ক্যাটরিনা!

গত সেপ্টেম্বরে ক্যাটরিনা কাইফের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে মধ্যরাতে বের হওয়ার সময় ক্যামেরাবন্দী হয়েছিলেন রণবীর কাপুর। সম্প্রতি মধ্যরাতে রণবীরের বাসায় ঢোকার সময় ক্যামেরাবন্দী হয়েছেন ক্যাটরিনা।
বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে ২০ বছর আগের এক মামলায় ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন সঞ্জয় দত্ত। সান্ত্বনা জানাতে ওই দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে মুম্বাইয়ের পালি হিল আবাসিক এলাকায় সঞ্জয়ের বাসায় হাজির হয়েছিলেন প্রতিবেশী রণবীর কাপুর। সেখান থেকে রাত দেড়টার দিকে নিজের বাসায় যাওয়ার পথে তাঁর পিছু নেন আলোকচিত্রীরা।
কারণ সেসময় রণবীরের বাসার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল ক্যাটরিনার বহুল পরিচিত কালো অডি গাড়িটি। রণবীর তাঁর বাসায় ঢোকার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ক্যাটরিনার গাড়িটিও ঢুকে পড়ে মূল ফটক দিয়ে। সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে সরাসরি কথা না বলে রণবীরের মুখ থেকে সব শোনার জন্য ক্যাটরিনার এ আগমন কি না, তা অবশ্য জানা যায়নি।

এর আগেও রণবীরের বাড়িতে এসেছেন ক্যাটরিনা। তবে এবারই প্রথম ক্যামেরাবন্দী হলেন তিনি। নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বের বাইরে আর কোনো সম্পর্ক নেই—বরাবরই এমনটা বলে আসছেন রণবীর-ক্যাটরিনা। কিন্তু তাঁদের কথার সঙ্গে কাজের মিল খুঁজে পাচ্ছেন না কেউই।

অভিযোগ প্রত্যাহার করলেন অনন্ত-বর্ষা

চিত্রনায়ক অনন্ত ও তাঁর স্ত্রী চিত্রনায়িকা বর্ষা পরস্পরের বিরুদ্ধে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় করা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) প্রত্যাহার করেছেন।
আজ রোববার সন্ধ্যায় অনন্ত ও বর্ষা তাঁদের আইনজীবী এবং প্রতিনিধিদের মাধ্যমে মোহাম্মদপুর থানায় গিয়ে জিডি প্রত্যাহারের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের আবেদন গ্রহণ করে পুলিশ।
সাধারণ ডায়েরি প্রত্যাহার প্রসঙ্গে আজ সন্ধ্যায় অনন্ত ও বর্ষা প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘গত ২২ মার্চ ঘটে যাওয়া ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত একটি পারিবারিক ঘটনা ও ভুল-বোঝাবুঝি। রাগের বশবর্তী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় করা আমাদের উভয়ের সাধারণ ডায়েরি স্বইচ্ছায়, কারও কোনো ধরনের প্ররোচনা ছাড়াই প্রত্যাহার করেছি। আমাদের এই অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল-বোঝাবুঝির কারণে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বন্ধুদের পাশাপাশি আমাদের অগণিত দর্শক-ভক্তদের কাছে আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।’

পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
অনন্ত ও বর্ষা পরস্পরের বিরুদ্ধে গত শুক্রবার মোহাম্মদপুর থানায় জিডি করেন।
শুক্রবার বিকেলে অনন্ত মোহাম্মদপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন, তাঁর স্ত্রী বর্ষার চারিত্রিক সমস্যা আছে। তাই তিনি বাড়ি থেকে চলে গেছেন। বর্ষা তাঁর ক্ষতি করতে পারেন, এমন আশঙ্কা থেকেই থানায় অভিযোগ করেছেন বলে জানান অনন্ত।
একই দিন রাতে বর্ষা একই থানায় গিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, অনন্ত তাঁকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তিনি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
এ ব্যাপারে তখন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, শুক্রবার বিকেলে অনন্ত ও রাতে বর্ষা পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন। দুজনের অভিযোগের বিষয়টি এখন তদন্তাধীন।
বর্ষার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করার বিষয়টি গতকাল শনিবার সকালে প্রথম আলো ডটকমকে নিশ্চিত করেন অনন্ত। তিনি বলেন, ‘বর্ষার নানা ধরনের সমস্যা ছিল। দুজনের ভালোর কথা চিন্তা করে বর্ষাকে অনেক বুঝিয়ে স্বাভাবিকও করেছিলাম। কিন্তু শুক্রবার সকালে কোনো ধরনের কথাবার্তা ছাড়াই সে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। শনিবার সকালে বর্ষার সঙ্গে আমি যোগাযোগের চেষ্টাও করি। দুজনের ভুল-বোঝাবুঝির অবসান করতে চাইলেও সে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর সারা দিন তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।’
গতকাল সারা দিন বর্ষার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে অনন্তের ফোনের মাধ্যমে কনফারেন্সে যোগাযোগ হয় বর্ষার বাবা আয়নাল হকের সঙ্গে। তিনি তখন অবস্থান করছিলেন সিরাজগঞ্জে। প্রথম আলো ডটকমকে তিনি বলেন, ‘মায়ের সঙ্গে বর্ষার কথাবার্তা হয়েছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে আমরাও উদ্বিগ্ন।’
২০১০ সালে ‘খোঁজ—দ্য সার্চ’ চলচ্চিত্র দিয়ে রুপালি পর্দায় হাজির হন অনন্ত ও বর্ষা। পরের বছর তাঁরা বিয়ে করেন। জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করেন ‘স্পিড’, ‘মোস্ট ওয়েলকাম’, ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’ ছবিতে। বর্তমানে তাঁরা দুজন জুটি হয়ে অভিনয় করছিলেন ‘মোস্ট ওয়েলকাম-২’ ছবিতে।

লাক্স তারকা রাহার মৃত্যু নিয়ে রহস্য

অনেকটা সংগোপনেই চলে গেলেন ২০০৭ সালের ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপার স্টার’ প্রতিযোগিতায় সেরা দশের তারকা সুমাইয়া আসগর রাহা। গত শুক্রবার রাতে নিজ বাসায় মারা গেছেন রাহা। শনিবার বিকেলে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়েছে। জানিয়েছেন রাহার বাবা শেখ মো. আলী আজগর।
আজ রোববার দুপুরে মোহাম্মদপুর চাঁন মিয়া হাউজিঙে রাহাদের বাসায় শেখ মো. আলী আসগরের সঙ্গে কথা হয়। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর মেয়ে হূদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। তিনি বলেন, ‘শুক্রবার রাত আটটা নাগাদ রাহা বাসায় ফেরে। এরপর সে তার নিজের ঘরে চলে যায়। শনিবার সকালে তার কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে চাবি দিয়ে তার ঘরের দরজা খোলা হয়। তখন বিছানায় থাকা রাহাকে ডাকাডাকি করে কোনা সাড়া না পেয়ে আমরা সকাল সাড়ে আটটার দিকে মহল্লার একজন চিকিত্সককে নিয়ে আসি। সেই চিকিত্সক জানান, রাহা ঘণ্টা তিনেক আগেই হূদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছে। এরপর আমরা তাঁকে দ্রুত সিটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানেও চিকিত্সকেরা একই কথা বলেছেন।’
তবে রাহার বাবা চিকিত্সক কিংবা কোনো হাসপাতালের দেওয়া রাহার মৃত্যু সংক্রান্ত সনদ দেখাতে পারেননি।
এদিকে রাহার প্রতিবেশীদের মতে, রাহা আত্মহত্যা করেছেন। আবার দাফন করার আগে আজিমপুর কবরস্থানের অফিসে জানানো হয়েছে, রাহা হাঁপানির সমস্যায় ভুগছিলেন। ওদিকে সিটি হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, শনিবার তাঁরা রাহা বা এ ধরনের কোনো রোগী পাননি।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক জানিয়েছেন, রাহার মৃত্যু সংক্রান্ত কোনো তথ্য তাঁদের কাছে নেই।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে লাক্স তারকা প্রতিযোগিতায় সেরা দশে ছিলেন রাহা। তার উল্লেখযোগ্য ধারাবাহিক নাটকের মধ্যে রয়েছে- হুমায়ূন আহমেদের পরিচালনায় ‘জল তরঙ্গ’, সালাউদ্দিন লাভলুর ‘স্বপ্নবাজার’, মাসুদ সেজানের ‘পুতুল খেলা’ ও ‘পাটিগণিত’, রেদওয়ান রনির ‘উচ্চতর শারীরিক বিজ্ঞান’ ও ‘লাকি থারটিন’, শরাফ আহমেদ জীবনের ‘কামিং সুন’ এবং এক খণ্ডের নাটক ‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি’, ‘জিম্মি’, ‘যত চিনি তত মিষ্টি’, ‘কাজী অফিস’, ‘ফোরটি টু মিনিটস’, ‘মেঘ ডেকেছে বেলায় বেলায়’, ‘টাইম বোম’।
বর্তমানে আরটিভিতে প্রচারিত হচ্ছে শেখ সেলিমের পরিচালনায় ‘মাকড়সা’ ও মাছরাঙা টিভিতে আতিক রহমানের পরিচালনায় ‘ইউনিভার্সিটি’।

Saturday, March 23, 2013

সঞ্জয়ের পর ফাঁসছেন সালমান!

বলিউডের ‘ব্যাড বয়’ তকমা পাওয়া অন্যতম দুই তারকা সালমান খান এবং সঞ্জয় দত্ত। বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে ২০ বছর আগের এক মামলায় সম্প্রতি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে সঞ্জয়কে। এদিকে বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণী চিঙ্কারা হত্যার দায়ে ১৫ বছর আগের এক মামলায় ফেঁসে যেতে পারেন সালমান। আজ ২৩ মার্চ যোধপুর আদালতে মামলাটির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মামলাটির শুনানিতে আজ যোধপুর আদালতে হাজির হয়েছিলেন সালমান বাদে বাকি চার অভিযুক্ত তারকা সাইফ আলী খান, টাবু, সোনালি বেন্দ্রে এবং নীলম। ট্রাইজেমিনাল নিউর্যালজিয়া রোগের চিকিত্সার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করায় হাজিরা দিতে পারেননি সালমান। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে জিনিউজব্যুরো।
মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৭ এপ্রিল। অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ৫১ ধারায় সালমানকে সাজা প্রদান করা হবে। আর বাকি অভিযুক্তদের সাজা প্রদান করা হবে ইন্ডিয়ান পেনাল কোডের ১৪৯ ধারায়। মামলার রায়ে প্রত্যেক তারকাকে অন্তত ছয় বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে।
১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং চলাকালে বিরল প্রজাতির চিঙ্কারা ও ব্ল্যাকবাক হরিণ শিকারে মেতে ওঠেন ছবিটির পাঁচ অভিনয়শিল্পী সালমান, সাইফ, টাবু, সোনালি এবং নীলম। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা হয়।
রাজস্থানের ভাওয়াড় গ্রামে দুটি চিঙ্কারা হত্যার দায়ে ২০০৬ সালে এক বছরের কারাদণ্ড পেয়েছিলেন সালমান। পরে অবশ্য জামিনে মুক্তি পান তিনি। অন্যদিকে, শিকারের পাশাপাশি সালমানকে চিঙ্কারা হত্যায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য দায়ী করা হয় সাইফ, টাবু, সোনালি এবং নীলমকে।

মোহাম্মদপুর থানায় অনন্ত-বর্ষার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

চিত্রনায়ক অনন্ত ও তাঁর স্ত্রী চিত্রনায়িকা বর্ষা পরস্পরের বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার মোহাম্মদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ (সাধারণ ডায়েরি) করেছেন।
গতকাল বিকেলে অনন্ত মোহাম্মদপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন, তাঁর স্ত্রী বর্ষার চারিত্রিক সমস্যা আছে। তাই তিনি বাড়ি থেকে চলে গেছেন। বর্ষা তাঁর ক্ষতি করতে পারেন, এমন আশঙ্কা থেকেই থানায় অভিযোগ করতে এসেছেন বলে জানান অনন্ত।
রাতে বর্ষা একই থানায় গিয়ে স্বামী অনন্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, অনন্ত তাঁকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, গতকাল অনন্ত ও বর্ষা পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।
অনন্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি থানায় অভিযোগ করার বিষয়টি আজ শনিবার প্রথম আলো ডটকমকে নিশ্চিত করেন।
তবে বর্ষার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
২০১০ সালে ‘খোঁজ—দ্য সার্চ’ চলচ্চিত্র দিয়ে রুপালি পর্দায় হাজির হন অনন্ত ও বর্ষা। পরের বছর তাঁরা বিয়ে করেন। জুটিবদ্ধ হয়ে তাঁরা বেশ কটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

Thursday, March 21, 2013

ডায়ানার গাউনের দাম ২ লাখ ৪০ হাজার পাউন্ড

প্রিন্সেস ডায়ানার ১০টি পোশাক গত মঙ্গলবার লন্ডনে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। এসব পোশাকের মোট দাম উঠেছে আট লাখ ৬২ হাজার ৮০০ পাউন্ড।
ডায়ানা ১৯৮৫ সালে হোয়াইট হাউসে একটি নৈশভোজে হলিউড অভিনেতা জন ট্রাভোল্টার সঙ্গে যে পোশাক পরে নেচেছিলেন—এসব পোশাকের মধ্যে সেটিও রয়েছে। সবচেয়ে বেশি দুই লাখ ৪০ হাজার পাউন্ডে (দুই লাখ ৮১ হাজার ইউরো বা তিন লাখ ৬৩ হাজার ডলার) বিক্রি হয়েছে গাঢ় নীল মখমলের এই লম্বা গাউনটি।
১৯৮৫ সালে প্রিন্স ও প্রিন্সেস অব ওয়েলস যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। তাঁদের সম্মানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান একটি নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন। সেই নৈশভোজে এই গাউন পরেছিলেন ডায়ানা। হলিউড তারকা জন ট্রাভোল্টা অভিনীত স্যাটারডে নাইট ফেভার-এর ‘ইউ শুড বি ড্যান্সিং’ গানটির তালে তালে তাঁর সঙ্গে নেচেছিলেন তিনি।
নিলামকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কেরি টেইলর জানান, যুক্তরাজ্যের এক ধনাঢ্য ব্যক্তি পোশাকটি কিনেছেন তাঁর স্ত্রীকে চমক দেওয়ার জন্য।
নিলামে বিক্রি হওয়া পোশাকগুলোর বেশ কয়েকটির ডিজাইনার জান্ড্রা রডস, ক্যাথরিন ওয়াকার, ব্রুস ওল্ডফিল্ড ও ভিক্টর ইডেলস্টেইন। তাঁরা সবাই ছিলেন ডায়ানার পছন্দের ডিজাইনার। অস্ট্রিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে এই পোশাকগুলো পরেছিলেন ডায়ানা। ১৯৯৭ সালে প্যারিসে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার মাত্র দুই মাস আগে মানবিক সাহায্যে তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তিনি এগুলো বিক্রি করে দেন। পোশাকগুলো কিনেছিলেন ফ্লোরিডার নারী ব্যবসায়ী মরিন রোরেচ।
নিলামকারী প্রতিষ্ঠানের একজন মুখপাত্র জানান, রোরেচকে দেউলিয়া ঘোষণার পর ২০১১ সালে কানাডায় পোশাকগুলো নিলামে তোলা হয়। কিন্তু সে যাত্রায় মাত্র চারটি বিক্রি হয়। তবে মঙ্গলবারের নিলামে সবগুলোই বিক্রি হয়েছে। একেকটির দাম উঠেছে ২৪ হাজার পাউন্ড থেকে দুই লাখ ৪০ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত। এর মধ্যে দুটি পোশাক কিনেছে যুক্তরাজ্যের একটি জাদুঘর।

সঞ্জয়ের পাঁচ বছরের জেল

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট আজ ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার অস্ত্র আইনের এক মামলার রায়ে বলিউডের অভিনেতা সঞ্জয় দত্তকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। এ-সংক্রান্ত মামলায় এর মধ্যে মোট ১৮ মাস জেল খেটেছেন বলিউডের এই অভিনেতা। এক খবরে জানিয়েছে এনডিটিভি।
বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে অস্ত্র আইনের মামলায় সঞ্জয় দত্তকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। তাঁকে চার সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
১৯৯৩ সালের মার্চ মাসে মুম্বাইয়ে ধারাবাহিকভাবে বেশ কয়েকটি স্থানে ১২টি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরিত হয়েছিল। সেসময় ওই ভয়াবহ বিস্ফোরণে মারা গিয়েছিলেন ২৫৭ জন আর ৭০০ জনের বেশি আহত হয়েছিলেন।
মুম্বাইয়ে ভয়াবহ এই সহিংসতা ঘটার পর বিস্ফোরণ মামলার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগ এবং বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র থাকার অভিযোগে ১৯৯৩ সালের এপ্রিল মাসে সঞ্জয় দত্তকে টেরোরিস্ট অ্যান্ড ডিসট্রাপটিভ অ্যাকটিভিটিস্ট অ্যাক্টের (টাডা আইন) অধীনে গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে সঞ্জয় দত্তের বাড়ি তল্লাশি করে একটি একে-৫৬ রাইফেল ও একটি লাইসেন্সহীন নাইন এমএম পিস্তল খুঁজে পেয়েছিল পুলিশ। সন্ত্রাসে সংযুক্ত থাকার অভিযোগ এবং অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করার পর মুম্বাইয়ের আর্থার রোড জেলে রাখা হয়েছিল।
পরবর্তী সময়ে ২০০৬ সালে টাডা আদালত সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগটি বাদ দেন। তবে আদালত তাঁকে অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সঞ্জয় সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলে ২০ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পান সঞ্জয় দত্ত।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালের ২ আগস্ট টাডা আদালতের আদেশে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি এবং তাঁকে সেসময় পুনের ইয়ারদা জেলে পাঠানো হয়েছিল।
সঞ্জয় তাঁর স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছিলেন, মুম্বাইয়ের ভয়াবহ বিস্ফোরণের আগে দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন সঙ্গী তাঁর বাড়িতে অস্ত্রসহ এসেছিলেন। তাঁদের কাছ থেকেই তিনি একটি একে-৫৬ রাইফেল নিজের পরিবারের সুরক্ষার প্রয়োজনে রেখে দেন। তবে মুম্বাই সহিংসতার পর তিনি তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইউসুফ নালওয়ালাকে অস্ত্রটি ধ্বংস করে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। অবশ্য পরে সঞ্জয় এই স্বীকারোক্তির বিষয়টি অস্বীকার করেন।
সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি পেলেও অস্ত্র আইনের মামলায় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে আজ ২১ মার্চ বলিউডের জনপ্রিয় এই অভিনেতাকে অবৈধ অস্ত্র রাখার অপরাধে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন।
বলিউডের অভিনেতা সুনীল দত্ত ও অভিনেত্রী নার্গিস দত্ত দম্পতির ছেলে সঞ্জয় দত্ত। ‘মুন্না ভাই এমবিবিএস’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ২০০৭ সালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের কাছ থেকে বিশেষ সম্মাননা গ্রহণ করেছেন সঞ্জয় দত্ত।