Thursday, March 28, 2013

মডেল রাহার লাশ উত্তোলন

লাক্স তারকা ও মডেল সুমাইয়া আজগার রাহার লাশ আজ বৃহস্পতিবার আজিমপুর কবরস্থান থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামিম বানুর উপস্থিতিতে আজ বেলা দেড়টার দিকে রাহার লাশ তোলা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
লাশ উত্তোলনের সময় মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেনসহ পুলিশের পাঁচ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন রাহার বাবা আলী আজগার ও চাচা জামাল উদ্দিন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামিম বানু উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, লাশ গলে গেছে। তাই রাহার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
গতকাল বুধবার রাহার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলার আদেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল ফজল মীর।
গত সোমবার মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এর জন্য আবেদন করেন। মহানগর হাকিম জয়নাব বেগম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মামলার নথি পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন।
পুলিশের আবেদনে বলা হয়, ২২ মার্চ রাতে রাহা তাঁর মোহাম্মদপুরের চাঁন মিয়া হাউজিংয়ের বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। বিষয়টি রাহার বাবা সংশ্লিষ্ট থানাকে না জানিয়ে লাশ দাফন করেন। মৃত্যুর কারণ খুঁজে দেখতে লাশ আজিমপুর কবরস্থান থেকে উত্তোলন, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিত্সক দ্বারা ময়নাতদন্ত করা প্রয়োজন।
গত রোববার রাত সোয়া ১০টার দিকে রাহার বাবা আলী আজগার মোহাম্মদপুর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন। এতে বলা হয়, রাহা শুক্রবার রাতে ঐশিক ও লামিয়া নামের দুই বন্ধুর সঙ্গে বাসায় ফেরেন। এ সময় শরীর খারাপ লাগছে বলে তাঁর মাকে জানান। মা তাঁকে লেবুর শরবত খেতে দেন। এরপর স্বাভাবিকভাবে ঘুমিয়ে পড়েন রাহা। পরদিন সকালে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তাঁরা দরজা ভেঙে দেখেন রাহা ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন।
২০০৭ সালে লাক্স তারকা প্রতিযোগিতায় সেরা দশে ছিলেন রাহা।

র‌্যাম্পে কারিনা

ডিজাইনার নম্রতা যোশিপুরার পোশাক পরে ল্যাকমে ফ্যাশন উইকের মঞ্চে হাঁটলেন কারিনা কাপুর। লম্বা পালাজো প্যান্টের সঙ্গে গোলাপি শার্ট আর জ্যাকেট পরেছিলেন তিনি। বললেন, ‘তিন বছর ধরে এতে অংশ নিচ্ছি আমি। এবার খুব ক্লান্ত লাগছিল। তবে মঞ্চে ওঠার মিনিট দুয়েক আগেই তা কেটে যায়। নম্রতার মতো নতুন ডিজাইনারদের অনুপ্রেরণা জোগাতে পেরে ভালো লাগছে।’
কারিনা আরও বলেন, ‘আমার প্রিয় রং কোরাল, লাল ও নীল। গরমের এই সময়টাতে সবাই হাসিখুশি থাকতে চায় আর এই রংগুলো মানুষের মন ভালো করে তোলে।’
পাশাপাশি নখের সাজ নিয়েও পরামর্শ দিয়েছেন কারিনা, ‘কোরাল নীল রঙের নখ আমার পছন্দ। ভিন্নধর্মী নখের রং সাজে নতুন মাত্রা যোগ করে।’

আমার গোপন কিছু নেই

শখ। এরই মধ্যে তিনি শেষ করেছেন এশিয়ান টিভির ভালোবাসার কাহিনি ধারাবাহিকের কাজ। নাটকটি এখন নিয়মিত প্রচারিত হচ্ছে।

শখের শখ...
আমার নামটাই যেহেতু শখ, তাই শখের কোনো শেষ নেই। আমার অনেক শখ—গান শোনা, নতুন কিছু জানা ও শেখা, নতুন কোনো দেশে যাওয়া। এমনি আরও অনেক কিছু।
আমি যাঁদের বড় ভক্ত...
বাবা আর মা।
যে কাজটা করলে শান্তি পাই...
মানুষের উপকার করতে পারলে অনেক বেশি শান্তি পাই। আর শুটিং শেষে বাসায় ফিরে যখন আমার ছোট ভাই রঙের (বয়স আড়াই বছর) মুখটা দেখতে পাই, তখন অনেক বেশি ভালো লাগে।
যাঁদের কাছে মনের কথা খুলে বলা যায়...
মা আর আমার বোন মুগ্ধকে। তাঁরা দুজন আমার খুব ভালো বন্ধু।
‘ভালোবাসার কাহিনি’তে অভিনয় করছি, আমার কাহিনি যত দূর...
প্লিজ, নো কমেন্ট।
এই ধারাবাহিকটির শুটিং করেছি...
কলকাতায়। কিছু কাজ ঢাকায়ও করেছি।
যে প্রসাধনী না হলে দিন চলে না...
কাজল আর পারফিউম। আমার অনেক পারফিউম আছে, ৫০টা তো হবেই। নানা ব্র্যান্ডের। একটা শেষ হওয়ার পর অন্যটার ব্যবহার শুরু করি।
ভাবলে খুব হাসি পায়...
মজার কিছু। শুটিংয়ে কিংবা শুটিংয়ের বাইরে সারা দিনই তো অনেক কিছু ঘটে। সেগুলো পরে ভাবলেই বেশ হাসি পায়।
মায়ের হাতের প্রিয় রান্না...
খিচুড়ি আর গরুর ভুনা মাংস। ভর্তাও ভালো লাগে।
বন্ধুদের আড্ডায় আলোচনার বিষয়...
নিজেদের কাজ, অন্য বন্ধুদের কথা, নিজেদের জীবন—আসলে আড্ডায় কথার কি আর শেষ আছে!
যে কথা কেউ জানে না...
আমি খুব ওপেন। আমার গোপন কিছু নেই। আসলে আমরা যাঁরা টিভি কিংবা চলচ্চিত্রে কাজ করছি, তাঁদের প্রায় সবকিছুই দ্রুত প্রচারমাধ্যমে চলে আসে। সবাই জেনে যায়।

Monday, March 25, 2013

Launch of Sunny Leone's item song












দ্বিতীয়বারের মতো

বর্তমানে অভিনয় একদমই কমিয়ে দিয়েছেন বলিউডের গুণী অভিনেত্রী টাবু। বিশেষ করে দুই দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জনের পর খুব বেছে বেছে কাজ করা শুরু করেছেন তিনি। শিশুশিল্পী হিসেবে আশির দশকে অভিনয়ে যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তীতে নব্বই দশকে নায়িকা হিসেবে দর্শকদের সামনে আসেন টাবু। এই সময়ে তার অভিনীত একাধিক চলচ্চিত্র সুপারহিট হয়। যার ফলে নব্বই দশকের পুরোটা সময় জুড়েই ব্যস্ত সময় পার করেন তিনি। এদিকে নিজের ক্যারিয়ার অনেক শক্তিমান অভিনেতার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাই টাবুর হয়েছে। তার মধ্যে ‘চিনি কম’ ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে কাজ করেছিলেন এই ভার্সেটাইল অভিনেত্রী। ছবিটি ব্যবসা সফলতা না পেলেও সমালোচক মহলে দারুণভাবে প্রশংসিত হয়। এই ছবিটিকে নিজের ক্যারিয়ারের একটি মাইলফলক হিসেবেই দেখেন টাবু। তার কারণ হলো অমিতাভ বচ্চন। বিগ বির অন্ধ ভক্ত হলেন টাবু। তার অভিনয় দেখে দেখেই বড় হয়েছেন। সেদিক থেকে ভালবাসা, শ্রদ্ধা ও স্বপ্নের পুরুষ টাবুর কাছে একমাত্র অমিতাভ। নতুন খবর হচ্ছে ‘চিনি কম’ এর পর এবার দ্বিতীয়বারের মতো অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে অভিনয় করতে যাচ্ছেন টাবু। রাম গোপাল বার্মার ‘সরকার’ ছবির পরবর্তী সিক্যুয়ালে অমিতাভের স্ত্রী রূপে দেখা যাবে তাকে। ইতিমধ্যে বিষয়টি পাকাপাকি হয়েছে বলেও জানা গেছে। এর মাধ্যমে দীর্ঘ সময় পর বলিউড ছবিতে অভিনয় করছেন তিনি। আর অমিতাভের সঙ্গে আরও একবার অভিনয় করতে যাওয়ায় দারুণ উচ্ছ্বসিত টাবু।

Sunday, March 24, 2013

রণবীরের মাঝরাতের অতিথি ক্যাটরিনা!

গত সেপ্টেম্বরে ক্যাটরিনা কাইফের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে মধ্যরাতে বের হওয়ার সময় ক্যামেরাবন্দী হয়েছিলেন রণবীর কাপুর। সম্প্রতি মধ্যরাতে রণবীরের বাসায় ঢোকার সময় ক্যামেরাবন্দী হয়েছেন ক্যাটরিনা।
বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে ২০ বছর আগের এক মামলায় ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন সঞ্জয় দত্ত। সান্ত্বনা জানাতে ওই দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে মুম্বাইয়ের পালি হিল আবাসিক এলাকায় সঞ্জয়ের বাসায় হাজির হয়েছিলেন প্রতিবেশী রণবীর কাপুর। সেখান থেকে রাত দেড়টার দিকে নিজের বাসায় যাওয়ার পথে তাঁর পিছু নেন আলোকচিত্রীরা।
কারণ সেসময় রণবীরের বাসার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল ক্যাটরিনার বহুল পরিচিত কালো অডি গাড়িটি। রণবীর তাঁর বাসায় ঢোকার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ক্যাটরিনার গাড়িটিও ঢুকে পড়ে মূল ফটক দিয়ে। সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে সরাসরি কথা না বলে রণবীরের মুখ থেকে সব শোনার জন্য ক্যাটরিনার এ আগমন কি না, তা অবশ্য জানা যায়নি।

এর আগেও রণবীরের বাড়িতে এসেছেন ক্যাটরিনা। তবে এবারই প্রথম ক্যামেরাবন্দী হলেন তিনি। নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বের বাইরে আর কোনো সম্পর্ক নেই—বরাবরই এমনটা বলে আসছেন রণবীর-ক্যাটরিনা। কিন্তু তাঁদের কথার সঙ্গে কাজের মিল খুঁজে পাচ্ছেন না কেউই।

অভিযোগ প্রত্যাহার করলেন অনন্ত-বর্ষা

চিত্রনায়ক অনন্ত ও তাঁর স্ত্রী চিত্রনায়িকা বর্ষা পরস্পরের বিরুদ্ধে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় করা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) প্রত্যাহার করেছেন।
আজ রোববার সন্ধ্যায় অনন্ত ও বর্ষা তাঁদের আইনজীবী এবং প্রতিনিধিদের মাধ্যমে মোহাম্মদপুর থানায় গিয়ে জিডি প্রত্যাহারের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের আবেদন গ্রহণ করে পুলিশ।
সাধারণ ডায়েরি প্রত্যাহার প্রসঙ্গে আজ সন্ধ্যায় অনন্ত ও বর্ষা প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘গত ২২ মার্চ ঘটে যাওয়া ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত একটি পারিবারিক ঘটনা ও ভুল-বোঝাবুঝি। রাগের বশবর্তী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় করা আমাদের উভয়ের সাধারণ ডায়েরি স্বইচ্ছায়, কারও কোনো ধরনের প্ররোচনা ছাড়াই প্রত্যাহার করেছি। আমাদের এই অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল-বোঝাবুঝির কারণে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বন্ধুদের পাশাপাশি আমাদের অগণিত দর্শক-ভক্তদের কাছে আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।’

পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
অনন্ত ও বর্ষা পরস্পরের বিরুদ্ধে গত শুক্রবার মোহাম্মদপুর থানায় জিডি করেন।
শুক্রবার বিকেলে অনন্ত মোহাম্মদপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন, তাঁর স্ত্রী বর্ষার চারিত্রিক সমস্যা আছে। তাই তিনি বাড়ি থেকে চলে গেছেন। বর্ষা তাঁর ক্ষতি করতে পারেন, এমন আশঙ্কা থেকেই থানায় অভিযোগ করেছেন বলে জানান অনন্ত।
একই দিন রাতে বর্ষা একই থানায় গিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, অনন্ত তাঁকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তিনি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
এ ব্যাপারে তখন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, শুক্রবার বিকেলে অনন্ত ও রাতে বর্ষা পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন। দুজনের অভিযোগের বিষয়টি এখন তদন্তাধীন।
বর্ষার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করার বিষয়টি গতকাল শনিবার সকালে প্রথম আলো ডটকমকে নিশ্চিত করেন অনন্ত। তিনি বলেন, ‘বর্ষার নানা ধরনের সমস্যা ছিল। দুজনের ভালোর কথা চিন্তা করে বর্ষাকে অনেক বুঝিয়ে স্বাভাবিকও করেছিলাম। কিন্তু শুক্রবার সকালে কোনো ধরনের কথাবার্তা ছাড়াই সে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। শনিবার সকালে বর্ষার সঙ্গে আমি যোগাযোগের চেষ্টাও করি। দুজনের ভুল-বোঝাবুঝির অবসান করতে চাইলেও সে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর সারা দিন তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।’
গতকাল সারা দিন বর্ষার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে অনন্তের ফোনের মাধ্যমে কনফারেন্সে যোগাযোগ হয় বর্ষার বাবা আয়নাল হকের সঙ্গে। তিনি তখন অবস্থান করছিলেন সিরাজগঞ্জে। প্রথম আলো ডটকমকে তিনি বলেন, ‘মায়ের সঙ্গে বর্ষার কথাবার্তা হয়েছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে আমরাও উদ্বিগ্ন।’
২০১০ সালে ‘খোঁজ—দ্য সার্চ’ চলচ্চিত্র দিয়ে রুপালি পর্দায় হাজির হন অনন্ত ও বর্ষা। পরের বছর তাঁরা বিয়ে করেন। জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করেন ‘স্পিড’, ‘মোস্ট ওয়েলকাম’, ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’ ছবিতে। বর্তমানে তাঁরা দুজন জুটি হয়ে অভিনয় করছিলেন ‘মোস্ট ওয়েলকাম-২’ ছবিতে।